হাদীসে বর্ণিত আছে, হযরত রসুলুল্লাহ (সঃ) ফরমাইয়াছেন ঃ যখন আল্লাহর কোন বান্দা অজু করতঃ জায়নামাযে দন্ডায়মান হয়, তখন আল্লাহ তা’আলা একজন ফেরেশতাকে ডাকাইয়া বলেন, আমার অমুক প্রিয় বান্দা নামায কায়েম করিবার মানসে তৈরি হইয়াছে কিন্তু তাহার দেহে পূর্বকৃত গুনাহ রহিয়াছে, উহার বোঝা নিয়া নামায আদায় করিলে নামায শুদ্ধ হইবে না। অতএব তাহার দেহ হইতে সমস্ত গুনাহ একটি ঝুড়িতে ভরিয়া তোমার মস্তকে তুলিয়া নিয়া দন্ডায়মান হইয়া থাক। ইহাতে আমার প্রিয় বান্দা নিষ্পাপ হালতে নামায আদায় করিতে সক্ষম হইবে। অতঃপর বান্দার সমস্ত গুনাই ঝুড়িতে ভরিয়া ফেরেশতা স্বীয় মস্তকে লইয়া দন্ডায়মান হইয়া থাকে। ইহাতে ঐ বান্দা নিষ্পাপ অবস্থায় নামায আদায় করিয়া থাকে। তৎপর ফেরেশতা আল্রাহর দরবারে আরজ পেশ করে, হে মা’বুদ! তোমার বান্দা নামায আদায় করিয়াছে, এখন কি পাপের বোঝা তাহার দেহে চাপাইয়া দিব? তৎসময় আল্লাহ পাক বলেন, হে ফেরেশতা! আমার এক নাম “গাফূরুর রহীম” তাই আমি যদি বান্দার দেহ হইতে পাপের বোঝা একবার নামাইয়া পুনরায় উহা তাহার প্রতি চাপাইয়া দেই, তবে আমার নামের মাহাত্ম বজায় থাকিবে কি? তুমি আমার বান্দার ঝুড়ি বোঝাই পাপ সমূহ জাহান্নামে নিক্ষেপ করতঃ জ্বালাইয়া ভষ্ম করিয়া ফেল । আমার ঐ বান্দা এখন হইতে একেবারে নিষ্পাপ হইয়া গেল।
Leave a Reply